অনলাইন মিডিয়া লিংক

ফেসবুক
  • বাংলা ফেসবুক পেজ
এখনই দেখুন
ইউটিউব
  • বাংলা ইউটিউব চ্যানেল
এখনই দেখুন
অডিও
  • অডিও প্রবচন
এখনই দেখুন
ছবি
  • ছবি
এখনই দেখুন
প্রবচন অনুলিপি
  • প্রবচন অনুলিপি
এখনই দেখুন

জীবন বৃত্তান্ত

শ্রী শ্রীমৎ জয়পতাকা স্বামী গুরুমহারাজ

ওঁ বিষ্ণুপাদ পরমহংস পরিব্রাজকাচার্য অষ্টোত্তরশত শ্রীশ্রীমৎ জয়পতাকা স্বামী ১৯৪৯ খ্রীষ্টাব্দের ৯ই এপ্রিল আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের উইসকন্‌সিন প্রদেশের মিলৌকি শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি যে দিনটিতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন সেটি ছিল কামদা একাদশী, যে একাদশীটি ঠিক রাম নবমীর পরেই পালিত হয়।

তাঁর শৈশবকালে তিনি আধ্যাত্মিকতায় অসাধারণ বুদ্ধিমত্তা ও মহান কৌতূহলতা প্রদর্শন করেন। তাঁর বয়স যখন মাত্র এগারো বছর, তাঁর পিতামহের পরামর্শে তিনি ভগবানের দিব্য নাম জপ করার মাধ্যমে নিজেকে এক চর্মরোগের থেকে আরোগ্য করেন।

তাঁর চৌদ্দ বছর বয়সে তিনি সেন্ট্‌ জন্স একাডেমী নামক একটি মহাবিদ্যালয়ে যাওয়ার পূর্ব প্রস্তুতিমূলক বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। যেখান থেকে তিনি অনায়াসেই স্নাতক পরীক্ষায় সর্বোচ্চ প্রাপ্ত নম্বর অর্জন করে তাঁর শ্রেণীতে প্রথমস্থান অধিকার করেন। একজন ছাত্রের মধ্যে মহান প্রতিভা রয়েছে সেটি উপলব্ধি করে আমেরিকার বেশ কয়েকটি প্রধান বিশ্ববিদ্যালয় তাকে বৃত্তি প্রদান করেছিল। তিনি ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। নবীন ছাত্ররূপে একজন অতিথির নিকট হতে ভগবান বুদ্ধের জীবনদর্শন শ্রবণ করে তাঁর অন্তরাত্মা জাগরিত হয়ে ওঠে এবং জড় শিক্ষার প্রতি আকর্ষণ হারিয়ে ফেলেন। তারপর তিনি পারমার্থিক শিক্ষকের সন্ধান করতে শুরু করেন। যেহেতু পাশ্চাত্যে তিনি কোন সদ্‌গুরুর সন্ধান পেলেন না তাই তিনি ভারতবর্ষে পাড়ি দিতে মনস্থির করলেন।

About

ব্যাসপূজা

ব্যাস পূজার অর্থ

পরম পুরুষােত্তম শ্রীকৃষ্ণের শক্ত্যাবেশ অবতার শ্রীল কৃষ্ণদ্বৈপায়ন ব্যাসদেব । স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণের সপ্তবিধ আপন শক্তিরাজির কোন একটি বা একাধিক শক্তির অভিব্যক্ত প্রকাশ করেন যে ভক্তজন, তাঁরই শক্ত্যাবেশ অবতার । শ্রীল ব্যাসদেবের মধ্যে জ্ঞান, শক্তি এতখানি সঞ্চারিত হয়েছিল যে, শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু তাকে ‘সর্বজ্ঞ’ বলে বর্ণনা করেছেন। শ্রীল সনাতন গােস্বামীর কাছে শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু এ বিষয়ে সুপ্রমাণিত করে বলেছিলেন, মুনির বাক্য শাস্ত্র পরমান’- এই মুনির দ্বারা কথিত সবকিছুই বৈদিক প্রমাণসম্মত এবং কেবল তার কথার মাধ্যমেই জড়জাগতিক বদ্ধ জীবাত্মকূল পারমার্থিক জ্ঞান অর্জন করতে পারে । পাঁচ হাজার বছরেরও আগে শ্রীল ব্যাসদেব বর্তমান কলহময় কলিযুগের ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যে, কলিযুগে মানবধর্ম, সত্যবাদিতা, শুচিতা, শান্তিভাব, করুণা, স্মৃতি, দেহবল এবং আয়ু দ্রুতগতিতে অবনতির দিকে চলবে এবং মানবজাতি নিম্নস্তরের পশু-পর্যায়ে অধঃপতিত না হওয়া অবধি এমনই চলতে থাকবে।

চরণাশ্রিত শিষ্য

১১৯২৮

হরিনাম দীক্ষিত শিষ্য

৫৪৩৭৪

ব্রাহ্মণ দীক্ষিত শিষ্য

৬৭৬১

সন্ন্যাস দীক্ষিত শিষ্য

২১

** তথ্যসূত্র: জে.পি.এস অফিস, শ্রীধাম মায়াপুর। সর্বশেষ আপডেট ১২ এপ্রিল ২০২২ খ্রিস্টাব্দ। **

অর্জন

কৃষ্ণভাবনাকে সীমাহীনভাবে প্রসারিত করা

নবদ্বীপ-মন্ডলের উন্নয়ন

মায়াপুর ধামের উন্নয়ন

৫০ হাজার দীক্ষিত শিষ্য

ভক্তিবেদান্ত স্বামী চ্যারিটি ট্রাস্ট

TOVP নির্মান

এক মাসে ১০ হাজার বড় গ্রন্থ এবং ১ লক্ষ ছোট গ্রন্থ বিতরণ করা

নাম-হট্ট বিকাশ

বাংলাদেশ ও নেপালে প্রচার করা

মায়াপুরে ২৪ ঘন্টা হরিনাম কীর্তন

প্রতিষ্ঠিত মন্দির এবং বিগ্রহ সমূহ

এখানে সকল তথ্য প্রদান করা হয় নি। যথাক্রমে তা সংগ্রহ করে প্রদান করা হবে।

নামহট্ট প্রচার

যেমনটি আমরা সবাই জানি যে, শ্রীমন্ নিত্যানন্দ প্রভু সুরভী-কুঞ্জ গোদ্রুমদ্বীপে নামহট্ট অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেছিলেন। এবং গৌড়-দেশের প্রতিটি নগর ও গ্রাম দিব্য-পবিত্র নামের দ্বারা প্লাবিত করেছিলেন। তারপরে শ্রীল ভক্তিবিনোদ ঠাকুর, সেই নামহট্ট কর্মসূচীর পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন যা শ্রীমন নিত্যানন্দ প্রভু মহান বীরত্ব, শুদ্ধত্ব ও ভক্তির সহিত সমগ্র বাংলায় ছড়িয়ে দিয়েছিলেন। তিনি শত শত প্রপান্নাশ্রমের সূচনা করেন। নামহট্ট প্রচারটি খুব সুন্দরভাবে পদ্ধতিগতভাবে, কাঠামোগতভাবে সংগঠিত ছিল এবং এটি “শ্রীগোদ্রুম কল্পাটবি” নামে পরিচিত তাঁর গ্রন্থে লিপিবদ্ধ হয়েছে। সময় যতই অতিবাহিত হতে থাকল নামহট্ট প্রচার ধীরে ধীরে অদৃশ্য হয়ে গেল।

১৯৭৭ খ্রিষ্টাব্দে, শ্রীশ্রীমৎ জয়পতাকা স্বামী মহারাজ বাংলায় এবং এর আশেপাশের ১০০০০ লোকজন নিয়ে এক মহতি সংকীর্তন প্রতিবাদের আয়োজন করেছিলেন। এটি ছিল শ্রীমায়াপুর মন্দির আক্রমণের বিরুদ্ধে এক প্রতিবাদ। সংকীর্তন প্রতিবাদের এই বিশাল পদযাত্রাটি আজ থেকে ৫০০ বছর পূর্বে চাঁদ কাজীর বিরুদ্ধে প্রতিবাদের মতো স্মরণ করা হয়ে থাকে।
তার পরে, শ্রীশ্রীমৎ জয়পতাকা স্বামী মহারাজ এক সঙ্কীর্তন সংস্থা গঠন করতে চেয়েছিলেন। এবং অনেক গ্রামবাসী শ্রীল প্রভুপাদের গ্রন্থাবলী পাঠ করার পর পূর্ণকালীন ভক্ত হিসেবে ইস্‌কনে যোগদান করার জন্য তাঁদের ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু, মহারাজ বুঝতে পেরেছিলেন যে কীভাবে হাজার হাজার লোককে তাঁদের পরিবার, গবাদি ইত্যাদির সাথে সমন্বয়বিধান করা সম্ভব।

সেই সময়ে, শ্রীশ্রীমৎ ভক্তিচারু স্বামী মহারাজ একখানি গৌড়ীয় পত্রিকা নিয়ে এসেছিলেন যা ১৯৫০ খ্রিষ্টাব্দে মথুরা থেকে কেশব মহারাজের মঠ দ্বারা প্রকাশিত হয়েছিল, যেখানে আমাদের শ্রীল প্রভুপাদ একজন অন্যতম সম্পাদক হিসাবে সেবাকার্য করছিলেন। আর সেখানে তিনি শ্রীল ভক্তিবিনোদ ঠাকুরের শ্রীগোদ্রুম কল্পাটবীর পাঁচটি অধ্যায়ের পুনঃপ্রকাশ করেন এবং সেই পাঁচটি অধ্যায় পাঠ করে এবং আমাদের পূর্বতন আচার্যবর্গের দৃষ্টিভঙ্গি উপলব্ধির মাধ্যমে, তিনি পূর্ব ভারতে নামহট্টের পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আর এটি শ্রীমন্মহাপ্রভুর করুণার সুনামি তৈরি করেছিল এবং প্রতিটি গ্রাম প্লাবিত করে। শ্রীশ্রীমৎ ভক্তি রাঘব স্বামী মহারাজ, শ্রীশ্রীমৎ গৌরাঙ্গ প্রেম স্বামী মহারাজ, শ্রীশ্রীমৎ ভক্তি বিলাস গৌরচন্দ্র স্বামী মহারাজ ও আরও অনেক ভক্ত এই মহান প্রচার সূত্রটি গ্রহণ করেছিলেন এবং বিশ্বজুড়ে বিশুদ্ধ ভক্তি ছড়িয়ে দিয়েছিলেন। এখন পূর্ব ভারতে আড়াই কোটিরও বেশি মানুষের কাছে এই প্রচার পৌঁছে গেছে।
এই নামহট্ট হলো আসলে গৌড়-দেশের আদি সংস্কৃতি, গৌড়ীয় বৈষ্ণবধর্মের সংস্কৃতিকে রক্ষা করেছে এবং আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মকে শ্রীমন্মহাপ্রভুর করুণা বুঝতে সাহায্য করেছে। আর শ্রীশ্রীমৎ জয়পতাকা স্বামী মহারাজ শ্রীল প্রভুপাদের বিজয় পতাকা হয়ে এই নামহট্ট প্রচারের মাধ্যমে বিশ্বকে জয় করছেন, এবং শ্রীল প্রভুপাদ ও পূর্বতন আচার্যবর্গের ইচ্ছা অনুসারে হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্রের মহিমা উন্মোচন করছেন।

ভক্তিবেদান্ত স্বামী চ্যারিটি ট্রাস্ট

প্রতিষ্ঠিত সাল : ১৯৭৭ খ্রিষ্টাব্দ

শ্রীল প্রভুপাদ তাঁর সময়ে স্বল্প কিছু ট্রাস্ট গঠন করেছিলেন: BBT (ভক্তিবেদান্ত বুক ট্রাস্ট), MVT (মায়াপুর বৃন্দাবন ট্রাস্ট), BSCT (ভক্তিবেদান্ত স্বামী চ্যারিটি ট্রাস্ট)।
‘ভক্তিবেদান্ত স্বামী চ্যারিটি ট্রাস্ট’ হলো সেই ট্রাস্ট যেটি শ্রীল প্রভুপাদ এই ধরনী থেকে তিরোভাব হওয়ার কয়েক সপ্তাহ আগে ১৯৭৭ খ্রিষ্টাব্দে তৈরি করেছিলেন। শ্রীল ভক্তিসিদ্ধান্ত সরস্বতী ঠাকুর প্রভুপাদ, তাঁর মহান প্রচেষ্টা ও দৃষ্টিভঙ্গি দ্বারা শ্রীল ভক্তিবিনোদ ঠাকুরের পদাঙ্ক অনুসরণ করে শ্রীনবদ্বীপ মণ্ডলকে গড়ে তুলতে শুরু করেছিলেন। আর তিনি নিজেও বহু দিব্য স্থান অনুসন্ধান করেছেন, এবং গৌরমণ্ডল ভূমি অন্বেষণ করেছেন। তিনি গৌড়-মণ্ডল-ভূমিকে ঘিরে বিশাল পরিক্রমার প্রবর্তন করেন।

শ্রীল প্রভুপাদ তাঁর শ্রীচৈতন্যচরিতামৃতের তাৎপর্যে তিনি শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু এবং তাঁর পার্ষদবর্গের শ্রীপাট (লীলা-স্থানসমূহ) সম্বন্ধে যা কিছু অনুবাদ করেছেন তা তিনি শ্রীল ভক্তিসিদ্ধান্ত সরস্বতী ঠাকুর প্রভুপাদের অনুভাষ্য থেকে গ্রহণ করেছেন এটি প্রমাণ করার জন্য যে শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর লীলাসমূহ কোন পৌরাণিক কাহিনী নয় এবং সেই স্থানগুলি বা শ্রীপাটগুলি এখনও বিদ্যমান। শ্রীল প্রভুপাদ শ্রীশ্রীমৎ জয়পতাকা স্বামী মহারাজকে অনুপ্রাণিত করেছিলেন, যাঁকে এই পারমার্থিক জগতের বিকাশের জন্য সেবা প্রদান করা হয়েছিল, তিনি এই নির্দেশ গ্রহণ করেছিলেন এবং আরও শ্রীপাট অন্বেষণ করা ও তার সাথে সাথে সংকীর্তন, গ্রন্থ বিতরণ, শ্রীবিগ্রহ নির্মাণ, তাঁতশিল্প তৈরি, বন্যা ত্রাণ, জীবনের জন্য খাদ্য (ফুড ফর লাইফ) ইত্যাদি কর্মযজ্ঞ শুরু করেছিলেন। আর শ্রীল প্রভুপাদের সাথে তিনি কয়েকটি শ্রীপাটেও ভ্রমণ করেছেন। এবং শ্রীল প্রভুপাদকে বিভিন্ন শ্রীপাট সম্পর্কে বিবরণ দেন এবং শ্রীপাটগুলির মন্দির রক্ষণাবেক্ষণে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন।

১৯৭৭ খ্রিষ্টাব্দে শ্রীল প্রভুপাদ ভক্তিবেদান্ত স্বামী চ্যারিটি ট্রাস্ট (BSCT) গঠন করেন এবং শ্রীশ্রীমৎ জয়পতাকা স্বামী মহারাজকে আজীবন সভাপতি (চেয়ারম্যান) করে গৌর-মণ্ডল ভূমির সীমানা ব্যাখ্যা করেন। এছাড়াও, তিনি পূর্ববর্তী আচার্যবর্গকে সন্তুষ্টি বিধান করার এক উপায় ব্যাখ্যা করেন। শ্রীশ্রীমৎ জয়পতাকা স্বামী মহারাজ এই নির্দেশকে নিজের জীবন ও আত্মা হিসাবে গ্রহণ করেছিলেন, এই শ্রীপাট গুলির সন্ধানে প্রবলভাবে তিনি শতাধিক গ্রামে ভ্রমণ করেছিলেন এবং সেই সমস্ত শ্রীপাটে মন্দির, নাট-মন্দির, রন্ধনশালা ইত্যাদি নির্মাণ করে সেই শ্রীপাটগুলির বিকাশ ঘটিয়েছেন। এইভাবে বিগত ৪৫ বছর ধরে তিনি অক্লান্তভাবে শ্রীল প্রভুপাদ, শ্রীল ভক্তিসিদ্ধান্ত সরস্বতী ঠাকুর প্রভুপাদ, গৌড়ীয় বৈষ্ণবগণ তথা শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর সেবা করে চলেছেন।

মায়াপুর-বৃন্দাবন ট্রাস্ট

এই ট্রাস্টটি শ্রীল প্রভুপাদ দ্বারা গঠিত হয়েছিল। ‘মায়াপুর-বৃন্দাবন ট্রাস্ট’-কে বিশেষতঃ শ্রীল প্রভুপাদের গুরু দক্ষিণার অর্থের দ্বারা ধরে রেখেছিল। শ্রীল প্রভুপাদ এই অর্থকে চারই-বিগ্রহের সেবায় ব্যবহার করার নির্দেশ দেন, বিশেষ করে যখন তাঁদের সেবার প্রয়োজন হয়, যথা: শ্রীমায়াপুর ধামে শ্রীশ্রীরাধা-মাধব, শ্রীবৃন্দাবন ধামে শ্রীশ্রী রাধা-শ্যামসুন্দর, হায়দ্রাবাদে শ্রীশ্রী রাধামদন-মোহন এবং মুম্বাইয়ের জুহুতে শ্রীশ্রী রাধা-রাসবিহারী, এই চারি শ্রীবিগ্রহগণের সেবায়। তবে শ্রীল প্রভুপাদের শিষ্যগণ তাঁদের ঐকান্তিক সেবা দ্বারা এই সমস্ত মন্দিরগুলিকে অত্যন্ত উৎকৃষ্ট মানের ও ঐশ্বর্যপূর্ণ বিগ্রহ সেবার্চনে রেখেছেন।

শ্রীবিগ্রহের সেবার্চন ব্যতিরেকেও, MVT ট্রাস্টের অর্থসমূহ এই সমস্ত মন্দিরগুলির উন্নয়নে ব্যবহৃত হয়। আর শ্রীশ্রীমৎ জয়পতাকা স্বামী মহারাজ হচ্ছেন এই ‘এমভিটি ট্রাস্টের’ অন্যতম একজন ট্রাস্টি, তিনি শ্রীশ্রীমৎ গোপাল কৃষ্ণ গোস্বামী মহারাজের সাথে একযোগে সেবা করছেন।

সারস্বত গৌড়ীয় বৈষ্ণব অ্যাসোসিয়েশন (এস জি ভি এ)

প্রতিষ্ঠিত সাল :

শ্রীল প্রভুপাদ, তাঁর পারমার্থিক গুরুদেব শ্রীল ভক্তিসিদ্ধান্ত সরস্বতী ঠাকুর প্রভুপাদের আদেশ অনুসারে কার্য করা এবং শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর বাণীকে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য তাঁর গুরু-ভ্রাতাদের একত্রিত করার অনেক চেষ্টা করেছিলেন। তবে তাঁর ইচ্ছামত তাঁর প্রচেষ্টা সফল হয়নি, কিন্তু তারপরও শ্রীল প্রভুপাদের প্রচারের প্রচেষ্টা এবং তাঁর ফল তাঁর গুরুভ্রাতাগণের দ্বারা খুব প্রশংসিত হয়েছিল, কেউ কেউ আবার তাঁর প্রশংসা করছিলেন না, তবে তাঁদের অধিকাংশই সারা বিশ্বে তাঁর প্রচারে খুব খুশি ছিলেন।

১৯৭৭ খ্রিষ্টাব্দে, এই জগৎ ছেড়ে যাওয়ার পূর্বে, শ্রীল প্রভুপাদ ‘ভক্তিবেদান্ত স্বামী চ্যারিটি ট্রাস্টের’ অন্যতম প্রধান লক্ষ্য হিসাবে তাঁর ইচ্ছাকে অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন। আর তা হলো শ্রীল ভক্তিসিদ্ধান্ত সরস্বতী ঠাকুরের অনুগামীগণকে একত্রিত করা।

শ্রীল প্রভুপাদের এই অভীষ্ট পূরণ করার জন্য শ্রীশ্রীমৎ জয়পতাকা স্বামী মহারাজ এই মহান কার্যটি তাঁর প্রাথমিক কর্তব্য হিসাবে গ্রহণ করেছিলেন। এবং সারস্বত গৌড়ীয় বৈষ্ণব সভা (সঙ্গ) গঠন করেন। তাঁর প্রচেষ্টা ও সম্পর্কের দ্বারা, তিনি শ্রীল ভক্তিসিদ্ধান্ত সরস্বতী ঠাকুর প্রভুপাদের বহু শিষ্যগণের হৃদয় জয় করেছেন। আর তাঁরা “বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যতা” নীতি গ্রহণ করেছিলেন। এখনও পর্যন্ত শ্রীশ্রীমৎ জয়পতাকা স্বামী মহারাজ সমস্ত মঠকে একত্রিত করার প্রচেষ্টা করছেন এবং বৃহত্তর ও ব্যাপক অর্থে গুরু-পরম্পরা ও শ্রীনবদ্বীপ ধামের সেবা করার চেষ্টা করছেন।

ইস্‌কন শ্রীরঙ্গম

প্রতিষ্ঠিত সাল :

যেমনটি আমরা সকলেই জানি, শ্রীরঙ্গম হলো শ্রীসম্প্রদায়ের প্রধান কার্যালয়। শ্রীপাদ রামানুজ আচার্যের অনুগামীগণ, যাঁরা শ্রীবৈষ্ণব নামে পরিচিত, এই স্থানটিকে দিব্য ধাম ভু-লোক বৈকুণ্ঠ হিসাবে পালন করে থাকেন। এটি পবিত্র কাবেরী নদী (কৃতমালা) দ্বারা বেষ্টিত একটি দ্বীপ বিশেষ। এই দিব্যময় ভূমি থেকেই শ্রীল গোপাল ভট্ট গোস্বামী শ্রীমন্মহাপ্রভুর নিকট কৃপা লাভ করেছিলেন। শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু তাঁর দক্ষিণ ভারত সফরের সময় এখানে চার মাস (চাতুর্মাস) অতিবাহিত করেছিলেন। আমাদের গৌড়ীয় বৈষ্ণব আচার্যবর্গ এখানে সময় অতিবাহিত করেন এবং বহু শতাব্দী ধরে গৌড়ীয় ধর্ম প্রচার করেন।

১৯৯০-এর দশকের গোড়ার দিকে শ্রীশ্রীমৎ জয়পতাকা স্বামী মহারাজের শিষ্য রুকমিহা দাস, একজন সংকীর্তন ভক্ত শ্রীরঙ্গমের পদ্মাবতী কল্যাণ মন্ডপে একটি কেন্দ্র প্রবর্তণ করেছিলেন। ২০০০খ্রিষ্টাব্দে তাঁরা তাঁদের নিজস্ব ভূমি লাভ করেন এবং শ্রীশ্রীমৎ জয়পতাকা স্বামী মহারাজ শ্রীল প্রভুপাদ পূজা করে তা উদ্বোধন করেন। ২০০১ খ্রিষ্টাব্দে তাঁরা তাঁদের নিজস্ব ভূমিতে একটি ছোট্ট কুঁড়েঘর দিয়ে অকিঞ্চনভাবে তার প্রারম্ভ করেন। ক্রমে ক্রমে বছরের পর বছর ধরে শ্রীরঙ্গমের চতুর্দিকে প্রচারের পর তা ছড়িয়ে পড়ে এবং বহু ভক্ত শ্রীশ্রীমৎ জয়পতাকা স্বামী মহারাজের নিকট হতে দীক্ষা গ্রহণ করেন।

দক্ষিণ ভারত সাফারি কর্মসূচী চলাকালীন শ্রীশ্রীমৎ জয়পতাকা স্বামী মহারাজ বিদেশ থেকে শত শত ভক্তকে নিয়ে আসতেন এবং শ্রীরঙ্গম পরিদর্শনে যেতেন। সুবিখ্যাত এই শ্রীরঙ্গনাথ শ্রীবিগ্রহ যাঁকে ভগবান শ্রীরামচন্দ্র স্বয়ং পূজা করেছিলেন।
সেখানে, শ্রীশ্রীমৎ জয়পতাকা স্বামী মহারাজের বেশ কয়েকজন শিষ্য এই কেন্দ্রের উন্নয়নে তাঁদের সময় এবং শক্তি উৎসর্গ করেন, তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের নাম হলো: শ্রীপাদ রথীশা দাস, বনমালি গোপাল দাস, রত্নবাহু গৌরাঙ্গ দাস (যিনি এই কেন্দ্রের জন্য জমি দান করেছিলেন), রঙ্গরাজ কৃষ্ণ দাস, অশোক গোবিন্দ দাস, দয়াল গোবিন্দ দাস, বর্তমানে নন্দ পুত্র দাস এই কেন্দ্রের তত্ত্বাবধান করছেন। অধিষ্ঠাতা শ্রীবিগ্রহগণ হলেন ‘শ্রীশ্রী জগন্নাথ, বলদেব, সুভদ্রা’ এবং ‘সুদর্শন’, ‘শ্রীশ্রী নিতাই-গৌরাঙ্গ’, ‘শ্রীশ্রী লক্ষ্মী-নরসিংহ’ এবং ‘শ্রীল প্রভুপাদ’। শ্রীশ্রীমৎ জয়পতাকা স্বামী মহারাজের নির্দেশ অনুসারে এখন SIHE (শ্রীরঙ্গম ইন্‌স্টিটিউট অফ্‌ হায়ার এডুকেশন) তামিল ভাষায় ভক্তি-শাস্ত্রী পাঠ্যক্রম শেখানো শুরু করেছে। আর এখানে ইস্‌কনের সমস্ত প্রধান প্রধান উৎসবগুলি অত্যন্ত জাঁকজমকপূর্ণভাবে পালিত হয়।

ম্যাগাজিন

প্রশ্ন ও উত্তর

যখন তুমি গুরু এবং কৃষ্ণের সেবায় নিয়োজিত থাকবে তখন স্বাভাবিকভাবেই তুমি গুরু এবং কৃষ্ণের সান্নিধ্য থাকবে এবং এটি তুমি অনুভব করতে পারবে। সুতরাং আমরা সরাসরি গুরুদেব অথবা তার বাণীর সেবা করার চেষ্টা করি। এই প্রকারে আমরা যুক্ত থাকতে পারি।

অবশ্যই, আমাদের কৃষ্ণের আশ্রয় নেওয়া উচিত এবং নিজেদেরকে বাঁচানোর চেষ্টা করার জন্য আমাদের বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করা উচিত। বাসুদেবের মতো, কংস যখন তার স্ত্রী দেবকীকে হত্যা করতে চেয়েছিলেন, তখন তিনি তাকে বাঁচানোর জন্য নানাভাবে চেষ্টা করেছিলেন। অবশেষে, তিনি যখন কংসকে সমস্ত সন্তান দেবেন বলে বললেন, তিনি মেনে নিলেন।

শিক্ষাষ্টকের তৃতীয় শ্লোকটি মেনে চলার চেষ্টা করুন- নিজের জন্য কোন সম্মানের প্রত্যাশা ব্যতিরেকে সবাইকে সম্মান প্রদান করুন। বোধ হয় আপনি সবাইকে সম্মান প্রদর্শন করছেন না, যা করা আমাদের কর্তব্য। যখন আমরা অবহেলা করি তখন আমাদেরকে ভুগতে হবে। আমাদের উচিত বৈষ্ণবদের প্রশংসা করা এবং এটি আমাদের সাফল্যের গোপন চাবিকাঠি।

আমাদের পক্ষে বোঝা শক্ত কখন আমরা ভগবদ্ধামে ফিরে যেতে পারবো, এবং এটি শ্রীকৃষ্ণের দ্বারা নির্ধারিত হয় এবং আমরা তার পূর্বে যেতে পারি না। তো, আমরা কৃষ্ণভাবনামৃত অনুশীলন করার চেষ্টা করি। তখন স্বাভাবিক ভাবেই আমরা শ্রীকৃষ্ণের ব্যাপারে চিন্তা করি, কারণ আমরা জানি না কতক্ষন বেঁচে থাকতে হবে সুতরাং আমাদের সর্বদাই কৃষ্ণের নিকট ফিরে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।

অধ্যায়ন করে স্বাভাবিভাবেই চিনময় গুণাবলী অর্জন করা উচিত এবং অধ্যায়নের মাধ্যমে স্বাভাবিকভাবেই সে বিভিন্ন আধ্যাত্বিক ব্যক্তিত্বের সঙ্গলাভের সুযোগ পায়, সুতরাং আমরা ঐ সমস্ত গুণাবলী অর্জনের চেষ্টা করি। এবং অন্তিমে আমরা অনেক কিছু অর্জন করতে পারি। অন্যান্য যে সমস্ত গুণাবলী রয়েছে যেমন ধৈর্য্য, সহ্যশক্তি সাধারণত গ্রন্থ অধ্যয়নের দ্বারা লাভ হয়।

বেশ, যদি আমরা মানসে মন্দির অথবা ধামে বাস করি এইভাবে ইন্টারনেটে আমি বিভিন্ন স্থান দর্শন করি। কিন্তু আমি অবশ্যই নিয়মিত মায়াপুরের মঙ্গলারতি তে যোগদান করি।এভাবে ইউটিউব, ফেসবুক, মায়াপুর টিভির মাধ্যমে আপনি অনেক মন্দিরের দর্শন লাভ করতে পারবেন আমরা এইভাবে মানসে পবিত্র ধাম দর্শন করতে পারি।

হ্যা, আসলে দুই প্রকারের ভক্ত রয়েছে, ভজনানন্দী এবং গোষ্ঠানন্দী। ভজনানন্দীরা তাদের ব্যক্তিগত মুক্তিলাভ কে জীবনের লক্ষ্য বলে গণ্য করে। গোষ্ঠানন্দীরা অন্যান্য ভক্তদেরকে সঙ্গে নিয়ে ভগবদ্ধামে ফিরে যেতে চায়। আমাদের পরম্পরা টি হল গোষ্ঠানন্দী পরম্পরা। আমরা কৃষ্ণভক্তি অনুশীলন করি এবং একইসঙ্গে ভক্ত সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য চেষ্টা করি সুতরাং আমাদের কাজ হল কৃষ্ণ ভক্তি অনুশীলনের সাথে সাথে প্রচারে অংশগ্রহণ করা।

শ্রীল প্রভুপাদ বলেছেন যে দীক্ষিত বা অদীক্ষিত যে কেউ ভক্তিশাস্ত্রী পাঠক্রমে অংশ নিতে পারবে। কিন্তু কেউ যদি সন্ন্যাস বা ব্রাহ্মণ দীক্ষা নিতে চায় বা গুরু হওয়ার জন্য তার কিছু আচার-ব্যবহার পর্যবেক্ষণ করতে হয়। শিক্ষামূলক পাঠক্রমে যে কেউ অংশ নিতে পারে।

আমাদের বারোটির সবকটি গুণাবলী অর্জন করার জন্য চেষ্টা করা উচিত। যদি কোন ক্ষেত্রে আমাদের অসুবিধা হয় তাহলে আমাদের জ্যেষ্ঠ গুরুভ্রাতা অথবা গুরুদেবের শরণাপন্ন হওয়া উচিৎ । দীক্ষা গ্রহণের অর্থ হলো নবজন্ম গ্রহণ করা। জন্মের পরে অন্যান্য বিষয়ে অংশগ্রহণের মাধ্যমে সেগুলি গড়ে তোলা যায়। এমনটি নয় যে জন্ম থেকেই আপনি সমস্ত গুণাবলী লাভ করবেন, অনুশীলনের মাধ্যমে আপনাকে সেগুলি অর্জন করতে হবে।

দীক্ষা আমাদের আধ্যাত্বিক জীবনের সূচনা মাত্র। আমাদের এমনটি ভাবা উচিত নয় যে দীক্ষার পরে সে খুব উচ্চ স্তরে পৌঁছে গেছে। দীক্ষাকে বলা হয় পারমার্থিক জন্মগ্রহণ। যদি আপনি অজন্মা থেকে যেতে চান তাহলে আপনার দীক্ষা গ্রহণের দরকার নেই। কিন্তু যদি আপনি জন্ম লাভ করতে চান তাহলে দীক্ষা গ্রহণ করা গুরুত্বপূর্ণ। এটি আপনাকে গুরু পরম্পরার সঙ্গে সংযুক্ত করে। এটি আপনাকে দিক্ষা গুরুর সাথেও যুক্ত করে। দীক্ষার পূর্বে সবকিছু কেবল অনুশীলন মাত্র। দীক্ষার সময় আপনি কিছু প্রতিশ্রুতি গ্রহণ করেন এবং সেগুলি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনি কমপক্ষে ১৬ মালা জপ, চার নিয়ম পালন, এবং আমার শিষ্যদেরকে আমি আরো একটি প্রতিশ্রুতি গ্রহণ করতে বলি - শ্রীল প্রভুপাদের নির্দেশসমূহ পালনে আমকে সহযোগিতা করা। সাধারনত এটুকুই যথেষ্ট। কিন্তু মাঝে মাঝে আমি কোন কোন ভক্তকে কিছু বিশেষ উপদেশ বা নির্দেশ প্রদান করে থাকি। তাদের সেটি পূরণ করা উচিৎ।

সাফারি

দৈনিক উক্তি

ফেব্রুয়ারি-০১

ভক্তসঙ্গ

যদি আপনি ভক্তদের সঙ্গ করেন তাহলে আপনি ভগবানের লীলাকথা শ্রবণ করতে পারবেন এবং তাতেই আপনার উৎসাহ বৃদ্ধি ও রক্ষা পাবে।

—০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ খ্রিস্টাব্দ, নিত্যানন্দ ত্রয়োদশী মহিমা, নয়া দিল্লী, ভারত

ফেব্রুয়ারি-০২

আমাদের মূল শিক্ষাগুরু শ্রীল প্রভুপাদের করুণা

তোমরা সকলে শ্রীধাম মায়াপুরে আসো, কারণ এটি ছিল শ্রীল প্রভুপাদের ইচ্ছা ঠিক যেমন দক্ষ যজ্ঞের আয়োজন করেছিলেন বিশ্বের লোকজনকে সুখী করার উদ্দেশ্যে এবং তাদেরকে মুক্ত হওয়ার একটি সুযোগ প্রদানের জন্যে, অনুরূপভাবে শ্রীল প্রভুপাদ (যিনি আমাদের মূল শিক্ষাগুরু, প্রতিষ্ঠাতা-আচার্য) ইস্‌কনের সকল ভক্তের মঙ্গল কামনা করে তাদের সীমাহীন করুণা বিতরণ এবং চিন্ময় সুখের জাগরণের জন্যে এসকল অনুষ্ঠান, মায়াপুর উৎসবের আয়োজন করেছিলেন।

—০২ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দ, শ্রীমদ্ভাগবতম প্রবচন ৬/৪/৪৪, শ্রীধাম মায়াপুর, ভারত

ফেব্রুয়ারি-০৩

প্রকৃতির বিভিন্ন গুনকে কৃষ্ণের সেবায় লাগানোর পন্থা

একটি কুঁড়েঘড়ে আপনি প্রকৃতির সাথে বাস করতে পারেন। কুঁড়েঘরে টিকটিকি, ঘাসফড়িং, ইঁদুর ইত্যাদি অনেক জীব বাস করে। কিন্তু এটি ‘সাত্ত্বিক’ বলে বিবেচনা করা হয়। একবার প্রভুপাদ বলেছিলেন যে, এই কুঁড়েঘর সত্ত্বগুণের। গঙ্গার পাশে থাকা আমাদের জন্য যথেষ্ট। কিন্তু যারা আসবে তাদের জন্য অতিথিশালা সুবিধা প্রয়োজন। এসব ইট, স্টিল, সিমেন্ট দিয়ে তৈরী, রজোগুণসম্পন্ন। কিন্তু এটি অতিথি অভ্যর্থনার জন্য প্রয়োজন। এভাবে শ্রীল প্রভুপাদ আমাদের শেখাচ্ছেন কিভাবে প্রকৃতির বিভিন্ন গুণকে কৃষ্ণের সেবায় লাগানো যায়।

—০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ খ্রিস্টাব্দ, শ্রীল প্রভুপাদ সম্পর্কে প্রবচন, নয়াদিল্লী, ভারত

ফেব্রুয়ারি-০৪

ইস্‌কনে ক্ষেত্রসন্ন্যাস নেয়া

শ্রীল প্রভুপাদ আমাদের এই ইস্‌কন ক্ষেত্র, আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ প্রদান করেছেন এবং নিশ্চিতভাবে আমরা সর্বদা ইস্‌কনে যুক্ত থাকতে চাই এবং কখনোই ইস্‌কনের বাইরে যেতে চাই না। তাই এই চেতনায় নিশ্চিতরূপে আমাদের সকলের ক্ষেত্রসন্ন্যাসের ভাব গ্রহণ করা উচিত যে আমরা ইস্‌কনের পরিবার ত্যাগ করতে অনিচ্ছুক। শ্রীল প্রভুপাদের নির্মিত এই শুদ্ধ আলয়ে, এই ক্ষেত্রে আমরা অবস্থান করতে চাই।

—০৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৭ খ্রিস্টাব্দ, প্রবচন, শ্রীধাম মায়াপুর, ভারত

ফেব্রুয়ারি-০৫

কৃষ্ণের কৃপা কখন আসে ?

কৃষ্ণ অনেক কিছুই করেন। যদি আপনি গঠনমূলক ও উপযোগী কোন কিছু চান, তাহলে তিনি তা আপনাকে দেবেন- কিন্তু তখন তিনি এও দেখবেন যে, আপনি এর জন্যে কতটা প্রস্তুত। তাই অনেক সময় তাঁর কৃপা পেতে কিছু সময় লাগে, আমরা যখন এটি চাইব তখন তা আসবে না, এটি আসবে যখন আমরা এর জন্যে প্রস্তুত থাকব।

—০৫ ফেব্রুয়ারি ২০০০ খ্রিস্টাব্দ, শ্রীমদ্ভাগবত প্রবচন ৭/৩/৩৬, শ্রীধাম মায়াপুর, ভারত

ফেব্রুয়ারি-০৬

মানবজীবন মূল সমস্যা সমাধানের জন্য

আমি সুখী, আমি ভোগ করছি। আমাকে এখন ভোগ করতে দাও, পরে ধর্মকর্ম করা যাবে। এই ধরনের মনোভাব আমাদের পারমার্থিক জীবনকে শেষ করে দেয়। শ্রীল প্রভুপাদ তাদেরকে বদমাশ বলেছেন এজন্য যে এই মানব জীবন দেয়া হয়েছে মূল সমস্যাগুলোর সমাধান করার জন্য।

—০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১০ খ্রিস্টাব্দ, সকালের ক্লাস, লস্ এঞ্জেলস্, আমেরিকা

ফেব্রুয়ারি-০৭

ভক্তিবৃক্ষের অগ্রদূত

ভক্তিবৃক্ষ দল এটির একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রয়েছে। কারণ প্রত্যেক অংশগ্রহণকারী অংশী হওয়া এবং কথা বলার সুযোগ পাবে এবং অগ্রদূতগণ প্রদানকারী হিসেবে অংশগ্রহণকারীদের কৃষ্ণভাবনার এক অসামান্য ও গভীর উপলব্ধি এবং ধারণা প্রদান করবে। তাই এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি সেবা এবং এখন আমরা দেখতে চাই তোমরা সকলে ভক্তিবৃক্ষের অগ্রদূত হয়েছ। শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু শিক্ষা দিয়ে গেছেন, যে কেউই গুরু হতে পারেন এবং প্রত্যেকেই নামহট্ট বা ভক্তিবৃক্ষের একজন অগ্রদূত হতে পারেন, যদি তাদের সেবাটি গ্রহণ করার হৃদয়, অনুপ্রেরণা থাকে। তাই এটি একটি বিশাল সুযোগ।

—০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১১ খ্রিস্টাব্দ, -স্বাগত ভাষণ, বেঙ্গালুর, ভারত

ফেব্রুয়ারি-০৮

শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর বিশেষ কৃপা লাভ

শ্রীল প্রভুপাদের গুরুদেব তাঁকে বলেছিলেন যে তিনি সমগ্র বিশ্বে সংকীর্তন যজ্ঞ প্রচারের মাধ্যমে ভগবান শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর বিশেষ কৃপা লাভ করতে পারবেন। তিনি শ্রীল প্রভুপাদকে একথাও বলেছিলেন যে শুধু প্রভুপাদই নন, যারা শ্রীল প্রভুপাদকে সহযোগিতা করবেন, তারাও ভগবান শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর বিশেষ কৃপা লাভ করবেন।

—০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ খ্রিস্টাব্দ, হায়দ্রাবাদ

ফেব্রুয়ারি-০৯

প্রসাদ বিতরণ বৈদিক সংস্কৃতির পন্থা

প্রসাদ বিতরণ ছাড়া কোন অনুষ্ঠানই পূর্ণ হয় না এবং এটিই বৈদিক সংস্কৃতির পন্থা।

—০৯ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৬ খ্রিস্টাব্দ, নিউ অর্লিন্স, লুসিয়ানা

ফেব্রুয়ারি-১০

কৃষ্ণনাম জপের ফল

যদি কেউ কিছু জলকে দূষিত করে এবং এতে সূর্য কিরণ দেয়, তাতে সূর্য দূষিত হয়ে যায় না। সূর্য ময়লাকে পরিশুদ্ধ করে, এভাবে কৃষ্ণনাম জপের মাধ্যমে প্রত্যেকেই উন্নত এবং শুদ্ধ হতে পারে।

—১০ ফেব্রুয়ারি ১৯৯০ খ্রিস্টাব্দ, শ্রীমদ্ভাগবত ১/১/১৪, ব্যাঙ্গালুরু, কর্ণাটক

ফেব্রুয়ারি-১১

আমাদের পারমার্থিক যৌথ সংস্কৃতি

শ্রীল প্রভুপাদ আমাদেরকে তাঁর উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে উৎসর্গীকৃত করতে চেয়েছিলেন। তাই আমাদের পারমার্থিক যৌথ সংস্কৃতি চালু করা প্রয়োজন। যদি প্রত্যেকে তা পালন করেন-আমরা জানি যে, তাঁর সংস্কৃতিটি পূর্ববর্তী আচার্যদের ইচ্ছা পূরণার্থে, তাহলে আমরা সর্বতোভাবে গুরু-পরম্পরার সাথে সম্পর্কিত। এর মানে আমরা পূর্ণশক্তি পাচ্ছি যা কৃষ্ণ হতে গুরু-পরম্পরায় আমাদের সকলের মধ্যে আনীত।

—১১ ফেব্রুয়ারি ২০০৪ খ্রিস্টাব্দ, শ্রীল ভক্তিসিদ্ধান্ত সরস্বতী ঠাকুরের আবির্ভাব তিথি, শ্রীধাম মায়াপুর, ভারত

ফেব্রুয়ারি-১২

আসক্তি থেকে বিশোধিত এবং করুণা প্রাপ্তি

প্রত্যেকেই মৃত্যুবরণ করছে, যার জন্ম হবে এবং যে জন্মেছে, তারও মৃত্যু হবে। তাই আমরা এই কলিযুগের সদ্ব্যবহার করতে পারি হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্র জপ-কীর্তনের মাধ্যমে। এক একটি মহাগুণ বা মহৎগুণ! তাই হরিনাম জপের মাধ্যমে, শুদ্ধ ভক্তসঙ্গের মাধ্যমে এবং ভগবান শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর মূল শিক্ষা অনুসরণের মাধ্যমে আপনি করুণা পেতে পারেন; আপনি আসক্তি থেকে বিশোধিত হবেন এবং আপনার অর্জিত শিক্ষা অন্যদের কল্যাণার্থে ব্যবহার করতে পারবেন।

—১২ ফেব্রুয়ারি ২০১১ খ্রিস্টাব্দ, প্রেরণা প্রবচন, কলকাতা, ভারত

ফেব্রুয়ারি-১৩

নিতাই কৃপা

যদি কেউ শ্রীশ্রী রাধাকৃষ্ণের পূজা করতে চায়, তাহলে নিত্যানন্দ প্রভুর কৃপা প্রয়োজন হয়।

—১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ খ্রিস্টাব্দ, একচক্রা ধাম, ভারত

ফেব্রুয়ারি-১৪

ভক্তসঙ্গে বসবাস করুন

যদি কোন ভক্ত মনে করে যে, ‘আমি ভক্তসঙ্গ ছাড়াই কৃষ্ণভাবনাময় হতে পারব’ এটি খুব বিপজ্জনক অবস্থা। আমরা যতই ভক্তদের থেকে পৃথক হব, ততই মায়ার আক্রমণের জালে আটকা পড়ব। জড় জগৎ সংগ্রাম করে টিকে থাকার জন্য তৈরি করা হয়েছে। তাই শ্রীল প্রভুপাদ কৃষ্ণভাবনাময় মন্দির, সমাজ ও খামার প্রকল্প করে এই পরিস্থিতি লাঘব করেছেন যেন ভক্তরা ভক্তসঙ্গে বসবাস করতে পারেন।

—১৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৯ খ্রিস্টাব্দ, শ্রীচৈতন্য চরিতামৃত, মধ্যলীলা, ২৫/২৭০, আটলান্টা

ফেব্রুয়ারি-১৫

নবদ্বীপ ধাম

শ্ৰীমতী রাধারাণী ভগবান শ্রীকৃষ্ণের প্রীতি বিধানের জন্যই এই নবদ্বীপ ধামের সৃষ্টি করলেন। এখানেই তিনি ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে আকর্ষণ করার উদ্দেশ্যে বাঁশী বাজিয়েছিলেন। প্রচলিতভাবে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ যিনি বংশী বাদন করেন, কিন্তু এখানে তিনি শ্রীমতী রাধারাণীর বংশীধ্বনিতে আকর্ষিত হলেন।

—১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ খ্রিস্টাব্দ, শ্রীধাম মায়াপুর, ভারত

ফেব্রুয়ারি-১৬

ভক্তিপথের ধাপসমূহ

দীক্ষাগ্রহণের মাধ্যমে একজন ভক্তিমূলক সেবার বীজ বপন করতে পারেন এবং ‘আমি এই দেহ নই, আমি কৃষ্ণের নিত্য সেবক’ এই ধারণাটি দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারেন। এর পরের ধাপটি হল শ্রীগুরুদেবকে অনুসরণ। আধ্যাত্মিক গুরুদেবের নির্দেশনাসমূহ অনুসরণ এবং সেবা প্রদানের মাধ্যমে একজন পরবর্তী ধাপে প্রবেশাধিকার অর্জন করে, যেটি দিব্য গুণ-উপলব্ধি। একজন যত শুদ্ধ হবে, সে কৃষ্ণ কর্তৃক তত বেশি আকৃষ্ট হবে এবং এরপর শ্রীশ্রী রাধা গোপীনাথের রূপে সেখানে অন্তিম আকর্ষণ অনুভব করবে।

—১৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৬ খ্রিস্টাব্দ, প্রবচন, শ্রীচৈতন্য চরিতামৃত, আটলান্টা, আমেরিকা

ফেব্রুয়ারি-১৭

কৃষ্ণভাবনায় প্রচেষ্টাকারী কৃপা লাভ করেন

মায়ার সাথে সংগ্রামের দ্বারা, প্রচেষ্টার দ্বারা আমরা শ্রীকৃষ্ণ, ভগবান শ্রীচৈতন্য, শ্রীনিত্যানন্দ এবং শ্রীল প্রভুপাদের বিশেষ কৃপা লাভ করতে পারি, যেটি খুবই প্রশংসনীয়। আমরা জানি যে, তাঁর কৃপা তাদের জন্যই যারা কৃষ্ণভাবনায় প্রচেষ্টাকারী।

—১৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৮ খ্রিস্টাব্দ, প্রবচন, শ্রীচৈতন্য চরিতামৃত, মধ্যলীলা, ১৩/১৫৪-১৫৫, নিউ তালবন, আমেরিকা

ফেব্রুয়ারি-১৮

অপরাধ পারমার্থিক অগ্রগতি বন্ধ করে দিতে পারে

কেবলমাত্র ভক্তরাই সত্যিকারের স্বার্থহীন এবং তাঁরা ভক্তদের যত্নগ্রহণ করতে পারে শুধুমাত্র কৃষ্ণকে খুশি করার জন্য। কারণ তাঁরা মনে করে যে আপনি কৃষ্ণের খুব প্রিয়। জ্যেষ্ঠ বৈষ্ণবদের প্রতি আমাদের কোন অপরাধ হচ্ছে কিনা, যা ‘মত্তহস্তী’র মত, সে ব্যাপারে খুব সাবধান থাকতে হবে। এমনকি কোন জ্যেষ্ঠ বৈষ্ণবও যদি কোন কনিষ্ঠ ভক্তের প্রতি অপরাধ করে তবে তার পারমার্থিক অগ্রগতি বন্ধ হয়ে যেতে পারে, কোথাও কোথাও এমনও বলা হয়েছে। এটি খুব মারাত্মক জিনিস।

—১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ খ্রিস্টাব্দ, ভক্তদের যত্ন গ্রহণ সম্পর্কে প্রবচন, শ্রীধাম মায়াপুর, ভারত

ফেব্রুয়ারি-১৯

গৃহস্থদের গ্রন্থ প্রচারে নিয়োজন

গৃহস্থদের যেকোন প্রকারে ভক্তিবৃক্ষ, নামহট্টের মাধ্যমে এই গ্রন্থ প্রচারে নিযুক্ত করাতে হবে। তাহলে তাদের ছোটখাট ভুলগুলি সংশোধন হয়ে যাবে। কিন্তু যদি তারা প্রচার না করে তাহলে তাদের অগ্রগতি হবে না।

—১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ খ্রিস্টাব্দ, মায়াপুর সংকীর্তন ভক্তদের সম্বোধন, শ্রীধাম মায়াপুর, ভারত

ফেব্রুয়ারি-২০

কৃষ্ণপ্রেম না থাকাই সর্বাধিকক্লেশ

প্রকৃতপক্ষে কৃষ্ণভক্তকে বুঝতে হবে যে, এই জগতের সর্বাধিক ক্লেশ অনাহার নয়, রোগপীড়া নয়, বার্ধক্য নয়। সর্বাধিক ক্লেশ হচ্ছে কৃষ্ণপ্রেম না থাকা। কৃষ্ণপ্রেম এতই বিচিত্র যে, এটি না থাকাটাই কষ্টের।

—২০ ফেব্রুয়ারি ১৯৯০ খ্রিস্টাব্দ, যোগপীঠ থেকে শ্রীমায়াপুর ধামে পদযাত্রা, শ্রীধাম মায়াপুর, ভারত

ফেব্রুয়ারি-২১

দিনপঞ্জিতে ভক্তির স্থান

আপনার দিনপঞ্জির মধ্যে ভক্তি কোন স্তরে থাকবে সেটা গুরুত্বপূর্ণ কারণ আরও অন্যান্য কাজকর্ম আছে, কিন্তু ভক্তিকে তার মধ্যে সবথেকে উঁচুস্তরে গুরুত্ব দেওয়া উচিত।

—২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ খ্রিস্টাব্দ, নবদ্বীপমণ্ডল পরিক্রমা অধিবাস, নামহট্ট ভবন, শ্রীধাম মায়াপুর, ভারত

ফেব্রুয়ারি-২২

এক জীবনে ভগবদ্ধামে প্রত্যাবর্তন করুন

এই জীবনে যদি এক শতাংশ কৃষ্ণচেতনা লাভ হয় তবে পরবর্তী জন্মে তা দুই শতাংশ থেকে শুরু হবে। এইভাবে করতে করতে যখন আপনাদের যথেষ্ট পরিমাণে কৃষ্ণপ্রেম বা কৃষ্ণভক্তি লাভ হয় তখন আপনারা গোলোক বৃন্দাবনে চলে যাবেন। সাধারণত তা বহু জন্মের পরে লাভ হয়, কিন্তু শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য মহাপ্রভুর কৃপায় তা আপনারা এই জীবনেও লাভ করতে পারেন। আপনারা এই নবদ্বীপ ধাম পরিক্রমা করছেন, তার মাধ্যমে সমস্ত জগত আশীর্বাদপুষ্ট হচ্ছে।

—২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ খ্রিস্টাব্দ, নবদ্বীপ মণ্ডল পরিক্রমার প্রথম দিন, বিদ্যানগর, শ্রীধাম মায়াপুর, ভারত

ফেব্রুয়ারি-২৩

শ্রদ্ধাকুটির

কৃষ্ণভাবনামৃত প্রচার করার জন্য আমাদের প্রচারকেন্দ্র থাকতে পারে। ভক্তিবিনোদ ঠাকুর সে প্রচারকেন্দ্রগুলোকে ‘শ্রদ্ধাকুটির’ বলেছেন। তার ফলে আমরা সংকীর্তন আন্দোলনকে বেগবান করে কলিকে দমন করতে পারি এবং স্বর্ণযুগ স্থাপন করতে পারি।

—২৩ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ খ্রিস্টাব্দ, শ্রীমদ্ভাগবত প্রবচন ২/২৪/১০, শ্রীধাম মায়াপুর, ভারত

ফেব্রুয়ারি-২৪

শ্রীল প্রভুপাদের অসামান্য উপহার কিভাবে পরিশোধ করতে হবে

আমরা শ্রীল প্রভুপাদকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, আপনি আমাদের যে মহান উপহার দিয়েছেন তা আমরা কিভাবে পরিশোধ করতে পারি ? তিনি উত্তর করেছিলেন, দয়া করে কৃষ্ণভাবনায় নিজে সুখী হও এবং অন্যদেরও সুখী কর। তাই, তিনি বিশ্বের সকল মানুষকে, পুরুষ, মহিলা, সকলকে তাঁর আদেশ গ্রহণ করে সর্বত্র এই কৃপাটুকু বিতরণ করতে বলেছিলেন। এখন আমাদের সময় শ্রীল প্রভুপাদকে তা পরিশোধ করার এবং সকলকে তা বিতরণ করার, সেই সকল মানুষকে যারা দুঃখ-কষ্ট ভোগ করছে, সংসাররূপী দাবানলে দগ্ধীভূত হচ্ছে, তাদেরকে কৃষ্ণভাবনার পরম আনন্দ প্রদান করা।

—২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ খ্রিস্টাব্দ, শ্রবণ উৎসব, ১ম দিন, শ্রীধাম মায়াপুর, ভারত

ফেব্রুয়ারি-২৫

এই ঔষধির জন্য প্রার্থনা করা

মানুষেরা এতটাই মোহগ্রস্ত হয়ে আছে যে, তারা ভাবছে, আমার এই ঔষধের প্রয়োজন নেই। কিন্তু প্রত্যেকেই মৃত্যুমুখে পতিত হচ্ছে এবং আমরা তাদেরকে বলার চেষ্টা করছি, এই ঔষধটি গ্রহণ কর, এটি তোমাকে রক্ষা করবে। কিন্তু তারা এতটাই মোহগ্রস্ত হয়ে রয়েছে যে, তারা সেটি গ্রহণ করছে না। ভগবান শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু বলেছেন যে, এই ঔষধির জন্য ভিক্ষা কর, এই ঔষধির জন্য ভিক্ষা কর, এই হরিনামের জন্য ভিক্ষা কর, এই হরিনাম সংকীর্তন হচ্ছে মহৌষধ।

—২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ খ্রিস্টাব্দ, শ্ৰবণ উৎসব, ২য় দিন, শ্রীধাম মায়াপুর, ভারত

ফেব্রুয়ারি-২৬

গোলোক বৃন্দাবনে ফিরে যাওয়ার সরাসরি প্রবেশদ্বার

এই মায়াপুর ধাম বৃন্দাবন থেকে অভিন্ন। এখানে গোলোক বৃন্দাবনে ফিরে যাওয়ার জন্যে সরাসরি প্রবেশদ্বার রয়েছে এবং সেটি শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু কর্তৃক উন্মুক্ত করা হয়েছে এবং কৃষ্ণকৃপাশ্রীমূর্তি শ্রীল প্রভুপাদ কর্তৃক আমাদের জন্য পুনরায় উন্মুক্ত করা হয়েছে। তাই, যাঁরা শ্রীধাম মায়াপুরে আসেন, তাঁরা তাঁদেরকে সহজেই চিন্ময় জগতে স্থানান্তর করতে পারবেন।

—২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ খ্রিস্টাব্দ, শ্রবণ উৎসব, ৩য় দিন, শ্রীধাম মায়াপুর, ভারত

ফেব্রুয়ারি-২৭

কৃষ্ণনাম কৃষ্ণ থেকে অভিন্ন

কৃষ্ণনাম কৃষ্ণ থেকে অভিন্ন এবং যত বেশি আপনি জপ করবেন, তত এর গভীরে প্রবেশ করতে পারবেন, তত আপনার উপর ভগবান শ্রীচৈতন্যদেব তাঁর কৃপা বিস্তার করবেন।

—২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ খ্রিস্টাব্দ, কীর্তনমেলা অধিবাস, শ্রীধাম মায়াপুর, ভারত

ফেব্রুয়ারি-২৮

নবদ্বীপ পরিক্রমা

ওঁ বিষ্ণুপাদ শ্রীল ভক্তিসিদ্ধান্ত সরস্বতী ঠাকুর একবার তাঁর এক পরিক্রমা দলকে বলেছিলেন যে, এদের মধ্যে একজন ব্যক্তি, যাঁকে আমি মাত্র দীক্ষা দিয়েছি, সে একদিন সমগ্র বিশ্ব থেকে ভক্তদের এনে নবদ্বীপ পরিক্রমা সম্পাদন করবে। কিন্তু তা আমার জীবদ্দশায় ঘটবে না এবং তা শীঘ্রই ঘটবে না, কিন্তু তা অবশ্যই ঘটবে। এখন আমরা তা দেখছি। প্রভুপাদ চিন্তা করেছিলেন যে, এই উৎসবে অংশগ্রহণ করা খাবার গ্রহণ করার মতোই গুরুত্বপূর্ণ। খাবার গ্রহণ করতে হবে আমাদের দেহের জন্য আর এই উৎসবে অংশগ্রহণ করতে হবে আমাদের নিজেদের (আত্মার) জন্য।

—২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ খ্রিস্টাব্দ, শ্রীমায়াপুর উৎসব উদ্বোধনী প্রবচন, শ্রীধাম মায়াপুর, ভারত

সন্ন্যাসী শিষ্য

মুকুন্দ গোস্বামী

অস্ট্রেলিয়া

গোপাল কৃষ্ণ গোস্বামী

ভারত

ভানু স্বামী

চেন্নাই, ভারত

ভক্তি রাঘব স্বামী

ভারত

ভক্তি বিকাশ স্বামী

ভারত

শ্রীমৎ ভক্তি পুরুষোত্তম স্বামী

শ্রীধাম মায়াপুর, ভারত

গৌরাঙ্গ প্রেম স্বামী

শ্রীধাম মায়াপুর, ভারত

ভক্তি সিদ্ধান্ত স্বামী

সুইডেন

ভক্তি ধীর দামোদর স্বামী

আফ্রিকা

ভক্তি বিনোদ স্বামী

কোয়েম্বাটুর, ভারত

ভক্তি নিত্যানন্দ স্বামী

শ্রীধাম মায়াপুর, ভারত

মুরলী কৃষ্ণ স্বামী

ওড়িশা, ভারত

ভক্তি মুকুন্দ স্বামী

মালয়েশিয়া

ভক্তি প্রিয়ম গদাধর স্বামী

রংপুর, বাংলাদশ

ভক্তি বিনয় স্বামী

ঠাকুরগাঁও, বাংলাদেশ

ভক্তি অদ্বৈত নবদ্বীপ স্বামী

সিলেট, বাংলাদশ

ভক্তি অর্জব প্রীতিবর্ধন স্বামী

শ্রীধাম মায়াপুর, ভারত

ভক্তি বিলাস গৌর চন্দ্র স্বামী

শ্রীধাম মায়াপুর, ভারত

ভক্তি বিজয় ভাগবত স্বামী

শ্রীধাম মায়াপুর, ভারত

চৈতন্য চন্দ্র চরণ প্রভু (দীক্ষা-গুরু)

রাশিয়া

যোগাযোগ করুন

ঠিকানা

Jayapataka Swami Archives
২য় তলা, প্রভুপাদ নিবাস, অভয় নগর, মায়াপুর, পশ্চিমবঙ্গ ৭৪১৩১৩, ভারত

কল করুন

ভারত অফিস ফোন: +৯১৭৩৮৪৫২২২১১
ভারত হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর: +৯১৯৮০০৯১৫৫৫৩
বাংলাদেশ অফিস এবং হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর: +৮৮০১৩০৩৭০৪০৩১

ইমেইল করুন

info@jayapatakaswamibangla.com
publications.victoryflag@gmail.com

খোলা থাকবে

সোমবার - শনিবার